আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
Published : 25 Mar 2025, 01:47 PM
ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা নয় দিন বন্ধ থাকবে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। ফলে ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্দর দিয়ে সব আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মুকিতুল ইসলাম এক চিঠিতে এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ।
চিঠিতে টানা নয় দিন কাস্টমস ও বন্দর বন্ধ থাকার কথা থাকলেও (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, তবে বেনাপোলসহ অন্যান্য কাস্টমস হাউজ ও শুষ্ক স্টেশনে তা পালন করা হয় না। বন্দর ব্যবহারকারীরা সবাই ছুটিতে চলে যাওয়ায় সবকিছু বন্ধ থাকে।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান ভোমরা কাস্টম সি এন্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা।
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে ভোমরা ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করতে রওনা দেবেন। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাবেন। সে কারণে কোনো পণ্য খালাস হবে না। ৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম চলবে।
ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি তুফান দুলাল মণ্ডল বলেন, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল।
বন্দরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ও দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি থাকবে।
দেশের অর্থনীতিতে ভোমরা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ৭০ ভাগই আসে ভোমরা বন্দর দিয়ে। ভোমরা চেকপোস্ট থেকে কলকাতার দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। দুই ঘণ্টায় চলে আসা যায় এই চেকপোস্টে। সে কারণে আমদানিকারকদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ভোমরা বন্দর।