১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই অধ্যক্ষ বাসা থেকে কলেজের পাশে সড়কে একটি দোকানের সামনে গেলে হামলার শিকার হন।
Published : 21 Jan 2025, 01:06 AM
ফরিদপুরে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনজুরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
দুই দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান।
সকাল ১০টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জনতা ব্যাংকের মোড় ও হাসিবুল হাসান লাবলু মিয়া সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বক্তারা বলেন, ঘটনার পাঁচ দিন পার হলেও পুলিশ হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে দুই যুবক অধ্যক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আগামী দুই দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ও কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “একজন শিক্ষকের ওপর হামলা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
হামলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলাম বাসা থেকে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের পাশে আব্দুল করিম সড়কে একটি দোকানের সামনে হামলার শিকার হন।
মোটরসাইকেলে করে আসা হামলাকারীরা পেছন থেকে তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে মোটরসাইকেল আরোহীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফরিদপুরে অধ্যক্ষের ওপর হামলার বিচার চাইলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা