জেসমিন আক্তার মহানগর মহিলা দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক।
Published : 27 Apr 2025, 09:50 PM
সিলেট নগরীতে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর মহিলা দলের নেত্রীর পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে বিএনপি।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে মহানগর মহিলা দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের সভাপতি জেসমিন আক্তারের সব দলীয় পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা ঘোষণা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ জেসমিন আক্তারের বাসার যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্ত করার সময় প্রতিবেশী অসীম দাসের সঙ্গে সংঘটিত বিরোধ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এর ফলে দলীয় শৃঙ্খলা এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নু হয়েছে।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে; যার নেতৃত্বে ছিলেন আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সহআইন বিষয়ক সম্পাদকসহ তিনজন। তদন্ত কমিটি উভয়পক্ষের মৌখিক জবানবন্দি, প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র, ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাদের প্রতিবেদন মহানগর বিএনপির নিকট জমা দেয়।
প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর দেখা যায়, রাস্তা প্রশস্তকরণের ক্ষেত্রে অনাধিকার চর্চা এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ সংঘটিত হয়েছে, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পাশাপাশি পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে দলীয় সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
২২ এপ্রিল সিলেট নগরীর সুবিদবাজার এলাকার হাজিপাড়া এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী অসীম কুমার দাশ অভিযোগ করেছিলেন, “জেসমিন বেগম, তার ভাই কামাল আহমেদ (৪০), কাওছার (২৬), রায়হান মিয়া (২৫) সহ অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজন ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আমার বাসার জানালার কাচ ভাঙে। তখন আমার বাবা-মা ঘর থেকে বের হয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসতঘরের ভেতরে গিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং লোহার পাইপ, হকিস্টিক ও কাঠের রুল দিয়ে আমার বাবা-মাকে বেধড়ক আঘাত করে। এ সময় তারা আমার বাবা-মাকে বলে, বাসার জায়গা না ছাড়লে তারা যেকোনো সময়ে চাকু দিয়ে আঘাত করে খুন করবে।”
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেছিলেন, “ঘটনার পরই আমি জায়গাটা পরিদর্শন করেছি। দুটি পরিবারই বাগানের জায়গায় বসবাস করছে। রাস্তার জায়গা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। ঘটনার পর দুটি পরিবারই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তবে পাড়ার বাসিন্দরা এটি সমাধন করবেন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থতি স্বাভাবিক রয়েছে।”