রাজস্থলীর ওসি বলেন, “পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র কর্মীরা আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের কারণে প্রায়শই এমন ঘটনায় লিপ্ত হন।”
Published : 20 Jan 2024, 03:12 PM
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় দুটি আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার সকালে উপজেলার গাইন্ধ্যা-বাঙ্গালহালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “এখানকার খুবই নিয়মিত একটি ঘটনার চিত্র এটি। আমরা যতটুকু জেনেছি, পাহাড়ের দুই আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস এবং মগ পার্টির মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।
“খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী পৌঁছানোর আগেই তারা সটকে পড়ে। সেখানে আহত বা নিহত হওয়ার কোনো আলামত বা গুলির খোসা পাওয়ার তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই।”
ওসি আরও বলেন, “পাহাড়ের আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র কর্মীরা আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ের কারণে প্রায়শই এমন ঘটনায় লিপ্ত হন।”
স্থানীয়রা জানান, রাজস্থলীতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে এবং এটি তাদের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বান্দরবানভিত্তিক মগ লিবারেশন আর্মি; যা সাধারণ মানুষের কাছে ‘মগ পার্টি’ নামে পরিচিত তাদের তৎপরতা বেড়েছে।
দুটি সংগঠনের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘাত হলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেগুলো লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।
যেহেতু সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ফলে তা জানাজানি হয় বলে অভিমত স্থানীয়দের।
জেএসএস এবং মগ পার্টির মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই গোলাগুলি হয়েছে বলে চন্দ্রঘোণা থানার ওসি আনসারুল করিমও জানিয়েছেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি জানাতে পারেননি।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, “ঘটনাটি জানার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গেছে। তারা ফিরে এসে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেওয়ার পর আমরা বিস্তারিত জানতে পারব।
“আপাতত সেখানে এমন একটি ঘটনার তথ্য আমারও নানাভাবে জেনেছি”, বলেন পুলিশ সুপার।
গোলাগুলির ব্যাপারে জানতে জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতাকে মোবাইলে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মগ পার্টির প্রকাশ্য কোনো নেতৃত্ব না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।