ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় মোংলা বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
Published : 26 May 2024, 01:24 AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ রূপ নেওয়ায় ও সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর জরুরি সভা করেছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
শনিবার রাত ৯টায় অনলাইন মাধ্যমে জরুরি এই সভায় জানান হয়, রোববার সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পাঁচ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ শুরু করবেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, সাত নম্বর সংকেত জারির পর জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে শনিবার রাতে এই জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, রোববার সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের বাগেরহাটে প্রস্তুত করা ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হবে। এর মধ্যেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার রাখা শুরু হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শনিবার রাতেই রেড ক্রিসেন্ট ও সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা উপকূলে মাইকিং শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের জন্য প্রস্তুত করা আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য বলছেন তারা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালে’ সাত নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ায় মোংলা বন্দরে সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, বিপদ সংকেত জারির পর বন্দরে পণ্য ওঠা-নামাসহ সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বন্দরে বর্তমানে ছয়টি দেশি-বিদেশি জাহাজ অবস্থান করছে। সেগুলো ও বন্দরের নিজস্ব জলযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যা যা করণীয় রয়েছে তা এর মধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।