Published : 17 Oct 2024, 04:55 PM
মানিকগঞ্জে দ্বন্দ্বের জেরে দুজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
বুধবার বিকাল থেকে মানিকগঞ্জ সদরের ভাড়ারিয়া ও হরিরামপুর উপজেলার বলড়া এলাকায় থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমানউল্লাহ জানিয়েছেন।
কুপিয়ে জখম করা ভাড়ারিয়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম আহমেদ (২৫) মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং ইসমাইল মোল্লার ছেলে জয়নাল আবেদিন (৩০) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া আহত সালমান, সায়মন ও ইউসুফ আলীসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আটক পাঁচজন হলেন-সাবেক ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু, নজরুল ইসলাম, রনি মিয়া, তুহিন ও রায়হান।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে ভাড়ারিয়া এলাকার সোহাগের ড্রেজারের একটি হ্যান্ডেল নিয়ে আসে ওই এলাকার রনি ও সুমন এবং বলড়ার বাসিন্দা ও বলড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু। এ নিয়ে ভাড়ারিয়ার মালাকার মোড়ে সোহাগের সঙ্গে আনোয়ার, রনি, বুলবুল ও সুমনসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহাগের লোকজন আনোয়ার ও রনিসহ কয়েকজনকে মারধর করে।
এর জেরে ধরে আনোয়ার তার এলাকার লোকজনকে নিয়ে ভাড়ারিয়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এবং ইব্রাহিম ও জয়নালকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপালে গুরুতর আহত হয় তারা। এ সময় ভাড়ারিয়া বাজারের ইদ্রিস আলীর ‘ভাই ভাই স্পোর্টস কর্নার, ইউসুফ আলীর ‘সুফিয়ান ফার্মেসি’ ও ‘আয়েশা আবেদ’ কসমেটিকসের দোকান ভাঙচুর করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়ারিয়া এলাকার লোকজনও বলড়া বাজারের সালামের ওষুধের দোকানসহ কয়েকটি দোকানের সার্টার ভাঙচুর করে।
সোহাগ মিয়া বলেন, “বলড়ার আনোয়ার হোসেন আনু, ভাড়ারিয়ার রনি, সুমনসহ কয়েকজন চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ড্রেজারের হ্যান্ডেল (হাতল) নিয়ে যায়। পরে আমিসহ কয়েকজন ওই হ্যান্ডেল আনতে ভাড়ারিয়ার মালাকার মোড়ে যাই। তারা হ্যান্ডেলটি ফেরত না দেওয়ায় আমার লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
এর জেরে জেরে আনু ভাইসহ সুমন ও রনিরা ভাড়ারিয়া বাজারের নিরীহ দোকানদের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। ইব্রাহিম ও জয়নালকে কুপিয়ে জখম করে তারা। তাদের একজনের মাথায় ১৭টির মতো সেলাই লেগেছে। আরেকজনের হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো অবস্থা।”
আনোয়ারের ভাগ্নে শাহিন বলেন, তার মামাসহ কয়েকজনকে ভাড়ারিয়া মালাকার মোড়ে সোহাগের লোকজন মারধর করে। এ কারণে ভাড়ারিয়ার লোকজন বলড়ার সালাম ডাক্তারের দোকান ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে বলড়ার লোকজনও ভাড়ারিয়া বাজারে হামলা করে।
সদর থানা ওসি এস এম আমানউল্লাহ বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
হরিরামপুর থানার ওসি মুমিন খান বলেন, “খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ও সদর থানার টিম রাতেই ঘটনাস্থলে যাই। মূল ঘটনাটি সদর থানা এরিয়াতে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”