বুয়েট ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় নিম্ন আদালতে দেওয়া ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
Published : 16 Mar 2025, 05:46 PM
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি.বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাই কোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তার মা রোকেয়া খাতুন।
রোববার দুপুরে হাই কোর্টের রায়ের পর কুষ্টিয়া শহরের বাসভবনে এক প্রতিক্রিয়া তিনি বলেন, “এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়।”
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় নিম্ন আদালতে দেওয়া ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে এ রায় দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ।
আসামিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন পলাতক রয়েছেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, “ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। কেউ আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাননি। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
“এখন একটাই চাওয়া, রায় যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর হয়। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে আর কেউ সাহস পাবে না। সেই সঙ্গে দেশের সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে যেন এমন প্রাণঘাতী রাজনীতি না থাকে সেই অনুরোধ করছি।”
আরও পড়ুন-
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন হাই কোর্টে বহাল
বুয়েটছাত্র আবরার হত্যা মামলা: হাই কোর্টে আপিল শুনানি শুরু
আবরার হত্যা মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন হাই কোর্টে বহাল
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। ওই শিক্ষায়তনে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
তাদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়েছেন।
গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতনের পর গত ৬ অগাস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বুয়েটে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশ শিক্ষার্থী।