নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় নারী শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন আসামিকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷
রোববার দুপুরে পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানির পর আদালত প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান সোনারগাঁয়ের তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক জাকির রব্বানী৷
রিমান্ডের তিন আসামি হলেন- সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী পূর্বপাড়া গ্রামের মমিন (২১), একই ইউনিয়নের নানাখী গোলনগর এলাকার আবু হানিফ (২৫) এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার মনুয়া গ্রামের ফয়সাল (২০)৷
প্রধান আসামি সাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
মামলার বরাতে পুলিশ জানায়, উপজেলার একটি বিস্কুট তৈরির কারখানায় কাজ করেন ভুক্তভোগী নারী৷ একই কারখানায় কাজ করেন সাখাওয়াত৷ একই কারখানায় কাজ করার কারণে সাখাওয়াতের সঙ্গে ওই নারীর ভালো সম্পর্ক ছিল৷
১০ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে সাখাওয়াতের সঙ্গে দেখা হয় ভুক্তভোগী নারীর৷ তখন সাখাওয়াত তার এক বন্ধুর বাড়ির দিকে যাওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী নারীকে আবু হানিফের পরিত্যক্ত মুরগির খামারে নিয়ে যায়। এবং সেখানে হাত, মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে৷
শনিবার রাতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন৷ রাতেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ৷
তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক জাকির রব্বানী বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী বলেন, “আমি চাই, আসামিদের কঠোর শাস্তি হোক৷ এমন শাস্তি চাই যে, এমন ঘটনা আর কেউ ঘটানোর আগে যেন দ্বিতীয়বার চিন্তা করে৷”