শরীয়তপুরে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ, ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৭

মামলায় অভিযোগ করা হয়, একদল যুবক বাদীর মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে এবং তার বান্ধবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2023, 02:02 PM
Updated : 6 May 2023, 02:02 PM

‘জমির বিরোধের জেরে’ বাড়ি থেকে ডেকে এক পোশাককর্মীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। 

শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়। 

ওই রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ এক ইউপি সদস্যসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গ্রেপ্তাররা হলেন ইয়সিন বয়াতী (৩০), সুমন বয়াতী (৩৬), রাসেল সরদার (৩০), জুয়েল ফরাজী (৩০), খোকন সরদার (২৮), শাহীন সরদার (২৪)।

দক্ষিণ চরসুন্দি গ্রামের লোকমান বয়াতী ও হাসান সরদারের মধ্যে ২৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার বাদীর পোশাক শ্রমিক মেয়ে (৩০) ও তার এক বান্ধবী (২৫) তাদের দক্ষিণ চরসুন্দি গ্রামের বাড়ি আসেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাসেল সরদার মোবাইল ফোনে বাদীর মেয়েকে বাড়ির বাইরে ডাকেন। তখন তিনি তার বান্ধবীসহ বাইরে বের হলে ইয়সিন বয়াতী (৩০), সুমন বয়াতী (৩৬), রাসেল সরদার (৩০), খোকন সরদার (২৮), শাহীন সরদারসহ (২৪) ৭-৮ জন মিলে তাদের জোড়পূর্বক পাশে নির্মাণাধীন একটি বাড়িতে নিয়ে যান। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, সেখানে তারা বাদীর মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন এবং তার বান্ধবীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু বান্ধবীর চিৎকারে বাদীর স্ত্রী চলে এলে ওই যুবকরা চলে যায়। 

পুলিশ জানায়, রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে বাদীর মেয়েকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতেই তিনি বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

রাতেই মামলার ছয় আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে ওসি জানান। 

পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, শনিবার সকালে রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নিজাম ঢালী গ্রেপ্তার আসামিদের ছাড়াতে তদবির করতে এলে পুলিশ তাকেও গ্রেপ্তার করেছে। 

বাদীর আরেক মেয়ে সাংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বোনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। 

বাদীর স্ত্রী বলেন, “আমার মেয়ের আর্তচিৎকার শুনে আমরা সেখানে যাই এবং সেখান থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি।” 

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক হারুনুর রশিদ পাভেল বলেন, “ভর্তি হওয়ার সময় মেয়েটি বলছিল যে তাকে ইয়াবা খাইয়ে গণধর্ষণ করেছে। কিন্তু কোনো রক্তক্ষরণ কিংবা কোনো আলামত পাইনি। তারপরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।”