“সুন্দরবনের সন্নিকটে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এবং খালে বিষ প্রয়োগের ফলে বাঘসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে।”
Published : 29 Jul 2024, 04:16 PM
“জলবায়ু উষ্ণতায় বাঘ ও সুন্দরবনের অস্তিত্ব হুমকিতে। সুন্দরবন ভালো না থাকলে বাঘও ভালো থাকবে না। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বাঘের ভূমিকা সর্বাধিক।”
সোমবার সকালে সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা কাইনমারিতে বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটার কিপার মো. নূর আলম শেখ এসব কথা বলেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পশুর রিভার ওয়ারটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এ সমাবেশে আয়োজন করেন।
বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম বলেন, “সুন্দরবন এবং তার প্রধান অলংকার বাঘকে রক্ষা করা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। সুন্দরবনের সন্নিকটে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন এবং খালে বিষ প্রয়োগের ফলে বাঘসহ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “বাঙালির শৌর্য-বীর্যের প্রতীক, প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের স্মারক বাঘকে আমরা কোনোভাবেই বিলুপ্ত হতে দিতে পারি না।”
নূর আলম বলেন, “বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী, বাঘসহ সুন্দরবনের সব প্রাণী রক্ষিত। এই আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি সাইটিস এর আওতায় বাঘ শিকার এবং এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার, বিপণন ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে সুন্দরবনে বাঘ শিকার ও পাচারে আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্র সক্রিয় আছে।”
বাঘ দিবসের বনজীবী সমাবেশ ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবনের জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সদস্য আব্দুর রশিদ হাওলাদার।
তিনি বলেন, “বাঘ রক্ষায় বন বিভাগের ঘন ঘন টহল এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ফলে চোরা শিকার কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ছাড়া বাঘের বৈজ্ঞানিক গবেষণা, মনিটরিং এবং বাঘ-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।”
এ সময় বক্তারা জানান. ১৯৩০ দশকে পূর্ব বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশ এলাকার ) ১৭ জেলার মধ্যে ১১ জেলাতেই বুনো বাঘ ছিল। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের অল্প কিছু সংখ্যক বাঘের কথা বাদ দিলে বলা চলে, শুধু সুন্দরবনেই বুনো বাঘ টিকে আছে।
সমাবেশে সুন্দরবনের বনজীবী মো. জাহিদ ব্যাপারী, মো. শাহাদত ব্যাপারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার হেনা বেগম বক্তব্য দেন ।