২০২৩ সালের ১ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
Published : 13 Nov 2024, 12:46 AM
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজশাহী নগরের বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার দুদকের রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা ও জজ আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।
২০২৩ সালের ১ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর বিরুদ্ধে দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম মামলা করেন।
দুদকের আমির হোসাইন বলেন, মামলা তদন্তের এক পর্যায়ে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আতিকুর রহমান দুদকে যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন, তাতে তার মোট সম্পদের মূল্য নয় কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকা দেখানো হয়। পরে তদন্ত করে তার ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা এক কোটি ৫৩ লাখ ছয় হাজার ৫১৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে দুদককে মিথ্যা তথ্য দেন বলে তদন্তে উঠে আসে।
এ ছাড়া আতিকুর রহমানের আয়ের সঙ্গে এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকার সম্পদের অসঙ্গতি পাওয়া যায় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
আতিকুর রহমান বছরের পর বছর ধরে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহীর সিটিহাট ইজারা পেয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় সম্প্রতি তার ছেলে আশিকুর রহমান তুহিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।