বাদী দাবি করেন, “ওই দুই ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকালে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”
Published : 11 Sep 2024, 11:50 PM
গাইবান্ধা প্রতিনিধি.গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যৌথবাহিনী আটক করার পর মারা যাওয়া দুই ব্যক্তিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সাঘাটা থানার এসআই দীপক কুমার রায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান জানান।
তিনি বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটের বাড়িতে অস্ত্র আছে, এমন খবর পেয়ে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এ সময় মোশারফ হোসেন সুইটসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। মোশারফের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।”
মামলার আসামিরা হলেন- আটক করার পর মারা যাওয়া সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলাম। এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, শাহাদত হোসেন ও রিয়াজুল ইসলাম।
তবে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা প্রসঙ্গে মামলার বাদী দীপক কুমার রায় দাবি করেন, “ওই দুই ব্যক্তি মারা যাওয়ার আগেই মঙ্গলবার সকালে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, “পরবর্তীতে মৃত ওই ব্যক্তির নাম আসামি থেকে বাদ যাবে।”
এদিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহাদত হোসেনকে (৪৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত দুইজনের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরেকজন রিয়াজুল ইসলাম রকি (২৮) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ আসিফ বলেন, “শাহাদত হোসেন আহত অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে এখানে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন রাতেই তাকে রংপুরে পাঠানো হয়।”
অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মারা যাওয়া সোহরাব হোসেনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকালে মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে সোহরাবের দাফন সম্পন্ন হয়।
এ ছাড়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শফিকুল ইসলামের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে পরিবার জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে যৌথবাহিনী উপজেলার ভরতখালীহাটে অভিযান চালায়। ওই এলাকার গোবিন্দি ও বাঁশহাটি থেকে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের মধ্যে দুজন মারা যান ।
পুলিশ ‘অসুস্থতার’ কারণে দুজন মারা গেছে দাবি করলেও পরিবারের অভিযোগ, নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যৌথ অভিযানে রাতে আটক চেয়ারম্যানসহ ৫ জন, দুপুরে দুইজনের মৃত্যু