নাটোরে আওয়ামী লীগের ৫ জনকে কোপাল প্রতিপক্ষ

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ ঘটনায় স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2022, 05:39 PM
Updated : 21 Dec 2022, 05:39 PM

নাটোরে আওয়ামী লীগের একটি পক্ষের বিরুদ্ধে সহযোগী সংগঠনের অন্তত পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ জানান।

আহতদের মধ্যে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন রিয়নকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্য আহতরা হলেন পরিবহন শ্রমিক নেতা মোহম্মদ আশা, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ লীগ নেতা বুলবুল এবং জেলা সৈনিক লীগের আমিরুল ইসলাম জনি।

তাদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে থাকা আহত আশার অভিযোগ, “নাটোর জেলা ট্রাক-ট্যাংক লরি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সেলিমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী দল আমার অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।”

এ ছাড়া সেলিম ও তার লোকদের বিরুদ্ধে সদর খাদ্য গুদামের সামনে শাহরিয়ার হোসেন রিয়ন, মাসুদুর রহমান, বুলবুলকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

এ সময় উদ্ধার করতে গিয়ে আমিরুল ইসলাম জনি আক্রান্ত হন বলে আহতদের অভিযোগ।

নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক সামিউল ইসলাশ শান্ত বলেন, “আহত পাঁচজনের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত আছে। তাদের মধ্যে মৎস্যজীবী লীগ নেতা রিয়নকে রাজশাহী  মেডিকেলে পাঠানো হয়।”

এদিকে, বিকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান আহতদের দেখতে নাটোর সদর হাসপাতালে যান।

সেখানে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, “এমপি শিমুলের লোকজন দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। আমরা বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি। তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

“এমপি শিমুলের লালিত সন্ত্রাসীরা আমাদের শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।”

নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল জানান, দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে তার ছবি নামানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাইব্রিডদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। 

হামলার বিষয়ে সেলিম বলেন, “আমরা খবর পাই, দিঘাপতিয়া এমপি সাহেবের অফিস দখল করে সন্ত্রাসীরা রাজত্ব কায়েম করবে। আমরা এমপি সাহেবের ছবি, প্রধানমন্ত্রী ছবি টাঙ্গিয়ে আসার সময় মাদ্রাসা মোড়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে উল্টো দোষারোপ করা হচ্ছে।”

এ ঘটনায় দুপক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তোজনা বিরাজ করছে।

ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, “এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”