গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসপি বলেন, “বেতন না দিয়ে শুক্রবার কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করার কারণে সকালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।”
Published : 14 Sep 2024, 07:47 PM
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
শনিবার গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকায় ‘টি এন জেট অ্যাপারেলস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় হামলা-ভাঙচুরের আশঙ্কায় পাশের ‘ইকো কুটিউর লিমিটেড’ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, টি এন জেট অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের অগাস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে কদিন ধরেই অসন্তোষ চলছিল। বারবার বেতনের দাবি জানানো হলেও মালিকপক্ষ পরিশোধ না করে শুক্রবার কারখানাটি বন্ধ করে দেয়।
শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানাটি বন্ধ দেখতে পান শ্রমিকেরা।
পরে বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এক পর্যায়ে তারা পাশের একটি কারখানায় ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
টি এন জেট কারখানার শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, গত ৭ অগাস্ট বেতন পরিশোধের তারিখ ছিল। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার পর শনিবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হয়।
কিন্তু শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানাটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।
মো. আনোয়ার হোসেন নামে কারখানার এক শ্রমিক বলেন, “প্রতি মাসেই কারখানা মালিক নির্ধারিত সময় আমাদের বেতন দিতে পারেন না। প্রতিমাসেই কোনো না কোনো অজুহাতে বেতন দিতে দেরি করে।
“আইজ সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ। এখনো বেতন পাই নাই। ঘর ভাড়া-সংসার খরচ সব আটকা পড়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই আমরা আন্দোলনে নামছি।”
এ বিষয়ে জানতে কারখানাটির পরিচালক মো. মহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসপি মোহাম্মদ সারওয়ার বলেন, “শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের ব্যাপারে শুক্রবার রাতেও আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে মিটিং করি। যেভাবেই হোক বেতন পরিশোধের অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা তা করেনি।”
তিনি বলেন, “এর মধ্যেই শুক্রবার কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করার কারণে সকালে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
“শ্রমিকেরা একপর্যায়ে আরও শ্রমিক জড়ো করতে পাশের ইকো কুটিউর কারখানায় ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।
পরে দ্রুত কারখানাটিতে ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পুরোনো খবর: