“তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় কথা বলতে পারছেন না।”
Published : 13 Feb 2024, 06:11 PM
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় মুখে টেপ ও চোখে সুপার গ্লু লাগিয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের কেউ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেন নাই। তবে অপরাধীদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। রোববার রাতে তিনি বাসার বাইরে ছিলেন।
সোমবার ভোরে তার মুখে টেপ, চোখে সুপার গ্লু লাগানো এবং হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার-ওসিসির সমন্বয়কারী সুমন রায় বলেন, “ওই গৃহবধূর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কথা বলতে পারছেন না।”
ওই নারীর ছেলে বলেন, রাতেই মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। কিন্তু এখনও বেশ দুর্বল; ইশারায় কথা বলছেন। কান থেকে দুল টেনে নেওয়ায় তার দুই কানের লতি কেটে গেছে। ওই জায়গায় চিকিৎসকরা সেলাই করে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, তিনি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। শনি ও বুধবার ছাড়া বাকি দিন তিনি বাসার বাইরে থাকেন। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে খুলনায় থেকে লেখাপড়া করে।
“রোববার রাতে তার স্ত্রী বাড়িতে একাই ছিলেন। গভীর রাতে কয়েকজন মই বেয়ে ছাদে উঠে শাবল দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তার স্ত্রীর চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে স্ত্রীর কানের দুল ও গলার চেনসহ বেশকিছু স্বর্ণালংকার এবং ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।”
থানায় মামলা বা অভিযোগ কেনো দায়ের করেন নাই, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার স্ত্রী কথা বলতে পারছে না। ফলে ঘটনা কি ঘটেছিল, তা বুঝতে পারছি না; কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না। তাই এখনও পুলিশের কাছে অভিযোগ করি নাই।”