গ্রেপ্তার বাবা-ছেলেকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Published : 31 Jan 2025, 07:29 PM
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীর ওপর হামলা মামলায় গ্রেপ্তার বাবা-ছেলেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ হামলার অভিযোগে করা মামলার পর রাতই তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির সাজেদুর রহমান জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (নতুন স্কুল) রোড এলাকার কবির মাহমুদ ও তার ছেলে ইফতি মাহমুদ। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান তাহমিদ বলেন, তারা শহরের গোপালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় (নতুন স্কুল) রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মেস করে থাকছেন। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধের কারণে স্থানীয় ‘সন্ত্রাসীদের টার্গেটে’ পরিণত হন তারা। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে ওই মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী আহত হন।
এর মধ্যে পাঁচজনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- কৃষি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইয়াজদানি আলী, একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহাদি হাসান তাহমিদ, এসিসিই বিভাগের সেলিম রেজা, একই বিভাগের আব্দুল্লাহ আল খালিদ ও আসাদুল্লাহ গালিব।
খবর পেয়ে সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শতাধিক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় সামনে জড়ো হন।
এ সময় তারা জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সেলিম রেজা তিনজনের নাম উল্লেখ ও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
মামলায় রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর শিক্ষার্থীরা থানার সামনে থেকে তাদের অবস্থান থেকে সরেন।
ওসি মির সাজেদুর বলেন, হামলায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সমন্বয়কদের ওপর 'হামলা': ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ