“উদ্ধার মধ্যে নয়টি অস্ত্র পুড়ে গেছে; যা ব্যবহারে অযোগ্য। শুধু তিনটি শটগান সচল রয়েছে।”
Published : 05 Sep 2024, 10:14 PM
বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া ৩৯টি অস্ত্রের মধ্যে ২৯টি এখনও উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত জানান, বগুড়া সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে লুট হওয়া এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১০টি। বাকি ২৯টি এখনও উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ওইদিন বিকালে আনন্দ মিছিলের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়া সদর থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে সেখানে আটকে থাকা সব পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
সেদিন অগ্নিসংযোগের কারণে থানার বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। থানার হেফাজতে থাকা কিছু মোটরসাইকেলসহ অন্য গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় লুটপাটও করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার অস্ত্রাগারের তালা ভেঙে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। এরপর আনসার সদস্যরা থানা পাহারার দায়িত্বে ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওয়াউল্লাহ বলেন, বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া ৩৯টি অস্ত্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ১০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে চেলোপাড়া থেকে পাঁচটি, সাতমাথা থেকে একটি, সেনাবাহিনীর উদ্ধার করা দুটি এবং বাকি চারটি সদর থানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার মধ্যে নয়টি অস্ত্র পুড়ে গেছে; যা ব্যবহারে অযোগ্য। শুধু তিনটি শটগান সচল রয়েছে।
তিনি বলেন, “অস্ত্র উদ্ধারে আমার কাজ করে যাচ্ছি। কারণ এই অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে থাকলে তা দিয়ে বড় ধরনের কোন নাশকতা করতে পারে। তবে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে শটগান ও চায়না এসএমজি মডেলের সংখ্যাই বেশি ছিল।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরাফত ইসলাম বলেন, ৫ অগাস্ট বগুড়া সদর থানার অস্ত্রাগার থেকে ৩৬টি অস্ত্র এবং থানার ভেতর থেকেই পুলিশ লাইন্সের ইস্যু করা তিনটি অস্ত্র খোয়া যায়৷ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে। দ্রুতই উদ্ধার করা হবে।