স্ত্রী সীমা স্বামী জুয়েল মোল্লার কাছে কাবিনের অর্থ চাইলে তিনি উল্টো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন; যৌতুক দিতে রাজি না হলে তিনি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।
Published : 29 Aug 2023, 06:35 PM
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত; মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতেই জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় ওই পুলিশ সদস্যের এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান খোকন।
দণ্ড পাওয়া আসামির নাম জুয়েল মোল্লা (২৫), তিনি কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের বাসিন্দা। সবশেষ তিনি মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
খালাস পাওয়া তিনজন হলেন, কাশিয়ানীর জোতকুরা গ্রামের জসিম মোল্যা, আজাহার মোল্লা এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের সোহেল মোল্লা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে মামলার বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন জুয়েল মোল্লা। ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে সীমাকে শরীয়াহ অনুযায়ী বিয়ে করেন তিনি।
পরের বছর স্ত্রী সীমা স্বামী জুয়েল মোল্লার কাছে কাবিনের অর্থ চাইলে তিনি উল্টো পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক দিতে রাজি না হলে তিনি বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় বাদী সাইমা আক্তার সীমা ২০১৭ সালের ৬ জুলাই গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন যে, ২০২০ সালে স্ত্রীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না দিলে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন না বলেও জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।
পরে মামলাটি গোপালগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এই মামলার শুনানি শেষে আদালত পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন, একই সঙ্গে তিনজনকে খালাস দেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদী সাইমা আক্তার সীমা।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ওই পুলিশ সদস্য প্রত্যেক বিষয়ে প্রতারনা করছে। ১ বছর সাজা কম হলেও দৃষ্টান্ত হয়েছে। কারন সাজা না হলে অন্য আসামীরা এ কাজে উৎসাহিত হবে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।