“অপহরণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।”
Published : 20 Apr 2025, 04:06 PM
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
রোববার সকালে রাঙামাটি কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম থেকে রাঙামাটি ‘আদিবাসী ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা পরিষদ পর্যন্ত গিয়ে আবার জিমনেসিয়ামে ফিরে আসে। পরে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করে আদিবাসী ছাত্র জনতার শিক্ষার্থীরা। রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুজন চাকমা এতে সভাপতিত্ব করেন।
এ সময় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণ সম্পাদক ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দাবি করেছিলাম আমরা যেন ভালো করে বিঝু ও পহেলা বৈশাখ পালন করতে পারি। কিন্তু এই উৎসব চলমান থাকার সময়েও পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ ও অপহরণসহ নানা ঘটনা ঘটে চলছে।
“এর থেকে বোঝা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে নোংরা রাজনীতির খেলা সে খেলায় প্রশাসনেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা বলেন, “পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না।
“আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপহরণকারীদের ধরার নামে যদি সাধারণ জণগণকে হয়রানি করে তাহলে সাধারণ জনগণ বসে থাকবে না। সন্ত্রাসী যে দলগুলো রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।”
তিনি বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে সমাধান করার জন্য আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির কথা বলছি। সে চুক্তি নিয়ে বর্তমান সরকারের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই চুক্তি বাস্তবায়নসহ অপহরণের শিকার পাঁচ শিক্ষার্থীদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানাই।”
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সহসভাপতি কবিতা চাকমা, শিক্ষার্থী হিমেল সহ আরও অনেকে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
পরে সমাবেশ শেষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বুধবার বিঝু উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী উৎসব শেষে চট্টগ্রামে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত হন।
তারা হলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-পিসিপি চবির শাখা সদস্য রিশন চাকমা ও তার চার বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
‘বিঝু’ শেষে ফেরার পথে চবির ৫ শিক্ষার্থী ‘অপহরণ’, ইউপিডিএফের অস্বীকার