“এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।”
Published : 23 Jun 2024, 04:29 PM
নেত্রকোণায় পুকুরে ও নদীর পানিতে ডুবে তিন শিশু ও এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকালে পূর্বধলা ও দুর্গাপুর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
মৃতরা হলেন-পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেণ্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর আট বছরের ছেলে মো. নোমান মিয়া, সদর উপজেলার সাতপাই উল্লাবাড়ি এলাকার মো. আল মামুনের সাত বছরের ছেলে মো. তাসকিন মিয়া, পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের বিশকাকুনী গ্রামের মফিজুল ইসলামের ২১ বছর বয়সী স্ত্রী সালমা আক্তার ও ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কুল্লাতলী গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর।
স্থানীয়দের বরাতে পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, “তাসকিন শনিবার বিকালে মা-বাবার সঙ্গে পাঁচমারগেণ্ডা গ্রামের নানা বাড়ি বেড়াতে যায়। পরে তার খালাত ভাই নোমানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তারা ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
“এরই মধ্যে রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাড়ির পাশে কংস নদের শাখা দেইড়াগাঙয়ে তাসকিন ও নোমানের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।”
ওসি রাশেদুল ইসলাম বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সালমা বাড়ির সামনে পুকুরে হাতমুখ ধোয়ার সময় পুকুরে তলিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে পৌনে ১১টার দিকে তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
এদিকে দাদির বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরী বাজার এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে গোসল করার সময় জাহাঙ্গীর পানির নিচে তলিয়ে যায় বলে দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান।
তিনি বলেন, “পরিবারের লোকজন নদী থেকে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”