দুর্ঘটনার পর পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চের তলা ফেটে গেলে সেটিকে একটি চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়; যাত্রীদের অন্য লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়।
Published : 11 Jun 2023, 12:39 AM
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঢাকাগামী এমভি পারাবাত ১১ নামের লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবি যাওয়ার পর একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মকবুলের টেক এলাকার অংশে নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল ও লঞ্চের কর্মী কেরানী মো. তুহিন জানিয়েছেন।
নিখোঁজ মো. রাকিব খান (২০) বাল্কহেডের কর্মী। বরগুনার তালতলী উপজেলার মোরানিদ্রা এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে তিনি।
তারা জানান, এ দুর্ঘটনার পর লঞ্চের তলা ফেটে গেলে সেটিকে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমভি পারাবাত ১১ লঞ্চের কেরানী মো. তুহিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। লঞ্চটি নদীর মকবুলের টেক এলাকার মোড় অতিক্রমকালে সামনে একটি বাল্কহেড পড়ে। রং পাশে থাকা বাল্কহেড তখন আড়াআড়ি ঘুরিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বাল্কহেডের উপর উঠিয়ে দিলে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
তিনি জানান, বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চের পানির লেভেল থেকে একটু উপরের অংশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করলে লঞ্চটি একটি চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরে লঞ্চের যাত্রীদের বেশির ভাগকে এমভি প্রিন্স আওলাদ ১০ এ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্ধশতাধিক যাত্রী রয়েছেন। তাদের ঢাকাগামী এমভি ফারহান লঞ্চে উঠিয়ে দেওয়া হবে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিলেট থেকে বালু নিয়ে বাল্কহেডটি বরগুনায় যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর সেটি ডুবে গেছে। সাঁতরে তীরে ওঠা বাল্কহেডের কর্মীরা একজন নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু রাতে তারা অভিযান করবে না। সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
পারাবত ১১ লঞ্চের যাত্রী পুলক ও তারেক জানান, লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেডটি ডুবে যাওয়ার সময় তিনজনকে সাঁতরে উপরে উঠতে দেখেন তারা।