পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে পরীক্ষায় পাস না করেও নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছিল।
Published : 30 Jan 2025, 07:50 PM
সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মহানগর আদালতে দুদক সিলেট কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (সাময়িক বরখাস্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রী, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তাসলিমা আক্তার, তাহসিন মাসুমা কচি, শক্তি রানী পাল, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, পূর্ণিমা নমঃ, পলি রানী দাশ, মন্টি সরকার ও পপি দাশ।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান আরও ১৭ জন। আর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আরেক আদশে নিয়োগ পান আরও ১৮ জন। মোট ৫৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে পরীক্ষায় পাস না করেও নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পর আটজনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় মামলাও করা হয়েছিল।
সেই মামলাটি এখন সিআইডি তদন্ত করছে বলে সিলেটের বিমানবন্দর থানায় ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান।
দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজসে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ ও চাকরিলাভের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা সিলেট জেলার বাসিন্দা না হয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে সেখানে চাকরি নিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে বাদী নিঝুম রায় সাংবাদিকদের বলেন, জেলা নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সুপারিশ বহির্ভূত আটজনের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হয়েছিল। এ ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। পরে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর আদালতে মামলাটি করা হয়।
ভেতরে থাকবে-
‘পাস না করেও’ চাকরি: স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বরখাস্ত, নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলা