হেফাজতে ইসলাম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে।
Published : 16 Sep 2024, 08:49 PM
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় হেফাজতে ইসলাম ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলা কদমতলী এলাকাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান জানান।
আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কসবা উপজেলা হেফাজত ইসলামের কর্মীরা এদিন কসবা পৌরসভার সুপার মার্কেট চত্বরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। অন্যদিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা কদমতলী এলাকায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
সকাল ১০টার দিকে কদমতলী এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে গ্রামবাসীও সংঘর্ষে যোগ দিলে কদমতলী এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে কসবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”
হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম প্রচার সম্পাদক ইয়াকুব উসমানী বলেন, সীরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে তাদের কর্মীরা কদমতলী কোরআন ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়েছিলেন।
“সকাল ১০টার দিকে পাশের টিআলী বাড়ির মোড় থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী পুরকুইল দরবার শরীফের পীর ছদর উদ্দিন সাহেবের সমর্থকরা এসে হামলা করে।”
অন্যদিকে ছদর উদ্দিন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই পারিনি। এর আগেই হেফাজত সমর্থিত লোকজন আড়াইবাড়ি মাদ্রাসায় আক্রমণ করে। পরে আমাদের দোষারোপ করে গ্রামবাসীকে ক্ষেপিয়ে দিয়েছে।
“আমাদের জশনে জুলুশ বানচাল করার জন্য এবং আমার সঙ্গে লোকজনের ওপর হামলা করেন। আমার বহু লোকজন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”