বরিশালে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-পোস্টার অপসারণে মাইকিং

আগামী ২৬ মে বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে; এরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2023, 07:51 PM
Updated : 2 May 2023, 07:51 PM

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও দোয়া চেয়ে টানানো ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার ও নির্মিত তোরণ সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার উদ্যোগে মঙ্গলবার দিনভর নগরীতে মাইকিং করা হয়।

রিটানিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রচার শুরুর আগেই যেসব পোস্টার লাগানো হয়েছে তা তুলে ফেলতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই মাইকিং করা হয়েছে।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৬ মে বরিশাল সিটি ভোটের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। তার আগে বরিশালে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে যেসব ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার ও তোরণ রয়েছে সেগুলো বুধবার রাত ১২টার মধ্যে অপসারণ করার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

এ নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

সিটি করপেরেশনসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী থাকলে তা মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ রাত ১২টার পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নিজ খরচে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিতে হবে।”

বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, “নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হওয়ার পর থেকে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নিতে শুরু করবে।”

মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) তার সৌজন্যে নির্মাণ করা তোরণ, টানানো ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করতে গত রোববার নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

খোকন সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের মনোনয়ন পেয়ে গত ২০ এপ্রিল বরিশাল যান তিনি। এ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্রনেতা, যুবনেতাসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা তোরণ নির্মাণ করেন, ব্যানার-ফেস্টুন টানান। নির্বাচন কমিশনের বিধি-নিষেধের কারণে এসব অপসারণ জরুরি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অপসারণ করে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।