জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, “সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়নি।”
Published : 17 Oct 2022, 11:00 PM
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ইস্যু করা পর্যবেক্ষক কার্ড থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা প্রবেশে বাধা দিয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলে। এই সময়ের মধ্যে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের চাষাড়ায় নারায়ণগঞ্জ কালেক্টরেট প্রিপারেটরি স্কুলকেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এ সময় সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা দেন পুলিশ সদস্যরা।
তারা বলেন, সাংবাদিকদের প্রবেশের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নিষেধ আছে।
ওই কেন্দ্রে থাকা কয়েকজন সাংবাদিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকেই পর্যবেক্ষক কার্ড থাকার পরও তাদেরকে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা।
জাতীয় দুটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক জানান, সদর উপজেলার সস্তাপুরের কমর আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যরা প্রবেশে বাধা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই ঘটনা ঘটেছে আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁ উপজেলার তিনটি কেন্দ্রেও।
আড়াইহাজার পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া বেসরকারি টেলিভিশনের তিনজন সাংবাদিক জানান, সকাল ১০টার পর থেকে ভোটকক্ষে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে বাদানুবাদও হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম বলেন, “কয়েকজন সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ করেছিলেন। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেই।”
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, “সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়নি। কাউকে বাধা দেওয়া হয়েছে এমন কথাও শুনিনি। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম।
“সব জায়গাতেই সাংবাদিক ছিল। তবে ক্যামেরা নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ নিষেধ ছিল।”
যদিও নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহকৃত সাংবাদিকদের কার্ডের নির্দেশনায় বলা আছে, ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে সচিত্র সংবাদ প্রচার করা যাবে।