ওসি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Published : 22 Oct 2024, 02:39 PM
রাজবাড়ীর পাংশায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
আহতরা হলেন, হাবাসপুর গ্রামের আ. মান্নান প্রামাণিক, মো. দুলাল উদ্দিন শেখ, মো. নিজাম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মো. রফিক, মো. হাসেম শেখ, চরপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম খান, রাকিবুল ইসলাম, আ. লতিফ প্রামাণিক ও হাসিদুল ইসলাম।
হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান প্রামাণিক বলেন, “আমিসহ আমার দলের নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। এ সময় সাবেক চেয়ারম্যান আ. লতিফ খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।”
আ. মান্নান প্রামাণিক আরও বলেন, “৫ অগাস্টের পর যারা গা ঢাকা দিয়েছিল পুনরায় তাদেরকে উত্থান করার লক্ষ্যে লতিফ খান তাদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
সংঘর্ষে আহত রবিউল ইসলাম খান বলেন, “আমরা আ: লতিফ খানের নেতৃত্বে চরপাড়া মোড় থেকে একটি মিছিল নিয়ে হাবাসপুর বাজারে পৌঁছাই। সে সময় বিএনপির অফিসে থাকা লোকজন অতর্কিতভাবে আমাদের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়।”
এ বিষয়ে জানতে হাবাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আ. লতিফের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়েছে। এরমধ্যে চারজন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন।
ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আরও বলেন, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”