মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কক্ষে সাংবাদিককের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন দুই পর্যটক।
Published : 24 Sep 2024, 06:16 PM
সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরার পথে দুই পর্যটক ও তাদের গাড়ি চালককে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশের তৎপরতায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কক্ষে সাংবাদিককের কাছে ‘অপহরণ চেষ্টার’ বর্ণনা দেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা এস এম নাহিদ উজ্জমামান ও মামুন ফকির।
নাহিদ উজ্জমামান বলেন, সাজেক থেকে ফেরার পথে দীঘিনালার জামতলী এলাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিছু অচেনা ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাদেরকে রাস্তা থেকে একটু ভেতরে পাশের করাত কলের কাছে নিয়ে যায়। এবং তাদের মোবাইল, জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে নেয়।
কিছুটা মারধর করার পর অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে জানিয়ে নাহিদ বলেন, “দরকষাকষিতে তারা ২০ লাখ টাকায় রাজি হয়। পরে সাজেকে রিসোর্ট কেনার কথা বলে পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাইতে বলে। আমি এক মামার কাছে জানাই।
“তখন পরিবারের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপারকে অবগত করা হয়। পুলিশ সুপার আমার ব্যক্তিগত নম্বরে যোগাযোগ করেন। তখন অপহরণকারীরা নম্বরটি ট্রু কলারে চেক করে। সেখানে পুলিশ সুপারের নাম দেখে অপহরণকারীরা দেড়টার দিকে আমাদের ছেড়ে দেয়। পুলিশকে কিছু না বলার জন্যও ভয়-ভীতি দেখায়।”
জিম্মিদশা থেকে বেরিয়ে দ্রুত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে চলে আসেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, “অপহরণকারীরা সাজেকে আমরা কোন রিসোর্টে ছিলাম সেটিও অবগত ছিল। তাদের কথাবার্তায় মনে হয়েছে, তারা আমাদেরকে আগে থেকেই অনুসরণ করেছে এবং অপহরণের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত।”
এ ঘটনায় মামলা করবেন বলে জানান নাহিদ।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “আমরা অপহরণের মামলা নেব। বিষয়টা তদন্ত করব। পাহাড়ে কারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আমরা খুঁজে বের করব এবং আইনের আওতায় আনব।”