নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের লোকজন রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
Published : 17 Jan 2025, 01:14 PM
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
গত ১২ জানুয়ারি বোরো ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুবেল মোল্লা নামের ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে রুবেলের চাচাত ভাই রমজান মোল্লা জানান।
নিহত রুবেল মোল্লা (২০) কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধবাড়ি ইউনিয়নের মধুর নাগরা গ্রামের কৃষক রহিম মোল্লার ছেলে।
আর অভিযোগের মুখে থাকা যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লা (৪০) একই গ্রামের ছাদেক মোল্লার ছেলে এবং বান্ধাবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।
ঘটনার বর্ণনায় রুবেলের চাচাত ভাই রমজান মোল্লা বলেন, “মারধরে আহত রুবেল স্থানীয় বাজারের এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
“এক পর্যায়ে নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের লোকজন রুবেলকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে দুই ঘণ্টা চিকিৎসা শেষে রুবেলের মৃত্যু হয়।”
তিনি বলেন, “আমার চাচাত ভাই রুবেলের কোনো রোগ ছিল না। মাত্র ৬ মাস আগে সে বিয়ে করেছে। সামান্য ক্ষেতে পানি দেওয়ার অপরাধে যুবলীগ নেতাকাবুল মোল্লা আমার ভাইকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। রুবেলের সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর এখন কি হবে?”
রুবেল মোল্লার বোন লাইজু খানম বলেন, “আমার ভাই মারা যাওয়ার পরের দিন কাবুলের স্ত্রী লিপি বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার মা-বাবার কাছে মাফ চেয়েছে। এটা কি কোনো সমাধান? আমরা আমাদের ভাই হত্যার বিচার চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা কাবুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ধান ক্ষেতে পানি দেওয়া নিয়ে আমার সঙ্গে রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়েছে মাত্র। তবে আমি তাকে কোনো মারধর করিনি।”
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”