পরিবার ‘মুক্তিপণের’ কথা বললেও; পুলিশের দাবি ধারাবাহিক অভিযানের কারণে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
Published : 04 Nov 2024, 09:08 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে অপহরণের দুই দিন পর বাড়ি ফিরেছেন নয় কৃষক। ‘মুক্তিপণ’ পাওয়ার পর অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
অপরদিকে পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে অপহরণকারী চক্র ওই নয়জনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
সোমবার সকালে অপহৃত দুই রোহিঙ্গাসহ নয়জন এলাকায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে নয়জনকে কৃষককে অপহরণ করা হয়। পরে জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে ভুক্তভোগীদের পরিবারকে ফোন করা হয়।
“বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। পরে গোপনে মুক্তিপণের টাকা দেওয়া হলে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে শোনা যাচ্ছে।”
তবে স্বজনরা কত টাকা এবং কাকে মুক্তিপণ দিয়েছেন, তা বলতে রাজি হচ্ছে না বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।
ফেরত আসারা হলেন- ওই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল এবং নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
তবে মুক্তিপণের বিষয়টি জানেন না দাবি করে তিনি বলেন, “ওই কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে কাজ করা হচ্ছে।”
কক্সবাজার জেলা পুলিশ বলছে, এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে ৮৮ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।
আরও পড়ুন: