সড়কের জায়গা সওজ’র, ইজারা দিল দেবিদ্বার পৌরসভা

সওজ-এর ভাষ্য, এই ছয়টি স্ট্যান্ডের পাঁচটিই তাদের সম্পত্তি; তাই তাদের অনুমতি ছাড়া পৌরসভা এ ইজারা দিতে পারে না।

আবদুর রহমানকুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2023, 05:34 PM
Updated : 23 Feb 2023, 05:34 PM

দুই লেনের কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনের জন্য ছয়টি স্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভা।   

ওই স্ট্যান্ডগুলো বসলে যান চলাচলে দুর্ভোগের আশঙ্কা করছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।   

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ভাষ্য, এই ছয়টি স্ট্যান্ডের মধ্যে পাঁচটিই পড়েছে তাদের সম্পত্তিতে। তাই তাদের অনুমতি ছাড়া পৌরসভা এ ইজারা দিতে পারে না। 

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবিদ্বার পৌরসভায় সীমানা নিয়ে জটিলতার কারণে এখনও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। বর্তমানে পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি তার স্বাক্ষর করা এক নোটিশে ওই ইজারা দেওয়া হয়েছে। দেবিদ্বার উপজেলা সদর থেকে মুরাদনগরের কোম্পানিগঞ্জ অংশ পর্যন্ত এই ছয়টি স্ট্যান্ডের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন রয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ছয়টি স্ট্যান্ডের মধ্যে দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের বিআরডিবির আওতাভুক্ত ইউসিসির স্ট্যান্ডটি ছাড়া বাকি সবগুলোই মহাসড়কের উপর অবস্থিত।

এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাঁচটি স্ট্যান্ডের অবস্থান মহাসড়কের মধ্যে। এসব কারণে যানজট লেগে থাকে। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনস্বার্থে মহাসড়কের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডগুলো ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

“এরপর স্ট্যান্ডগুলো ইজারা না দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়ে পৌর প্রশাসককে অধুরোধ করেছিলাম। এরপরও পৌর প্রশাসক (ইউএনও) কার স্বার্থে ইজারা দিয়েছেন সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।”

এ বিষয়ে সওজ এর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, “আমাদের জায়গা অন্য কেউ ইজারা দিলে এটা হবে বেআইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। পরবর্তীতে আমরা এ নিয়ে প্রদক্ষেপ নেব।”

এ সব বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার রাতে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ইউএনও ডেজী চক্রবর্তীর সরকারি মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

পরে তার পক্ষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম।

বিতর্ক সৃষ্টি হওয়া ওই পাঁচটি স্ট্যান্ড সওজের সম্পত্তির মধ্যে পড়েছে স্বীকার  করে তিনি বলেন, “প্রতিটি স্ট্যান্ডেই মহাসড়কলাগোয়া লিংক রোড রয়েছে। এসব যানবাহন মহাসড়কে ওঠে না; যার কারণে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হবে না।”

ওই ছয়টি স্ট্যান্ড প্রায় এক কোটি টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সওজের সম্পত্তি পৌরসভা ইজারা দিতে পারে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ২০২২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে এভাবেই ইজারা দেওয়া হচ্ছে। তাই এবারও দেওয়া হয়েছে।