“আমজাদ প্রতিবেশী আলতাফের দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে তার সঙ্গে বাড়ির দিকে যায়।”
Published : 11 Feb 2025, 01:27 PM
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় ফসলের মাঠ থেকে এক যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগর ফসলি জমির সীমানার পাশে ডাঙার পার থেকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান।
৩৮ বছর বয়সী আমজাদ সরফদিনগর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি বাল্লা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
ওসি বলেন, “সকালে স্থানীয়রা খানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে আমজাদ হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ঘটনা তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।”
নিহতের স্বজনদের বরাতে বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রেজা বলেন, সোমবার আমজাদ তার বাবা ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটি মেলায় গিয়েছিল। আমজাদকে কে বা কারা ফোন করে ডেকে নেয় বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, “স্থানীয় একজনের সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য একবার সমাজিকভাবে বসাও হয়ছিল। এছাড়া কয়েক বছর আগে এলাকায় এক পরিবারের সঙ্গে মামলাও ছিল; যা ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে।”
গতকাল স্থানীয় মাচাইন বাজারে এসে আমজাদ তাকে কলও দিয়েছিল, তখন তিনি মানিকগঞ্জে ছিলেন বলেও জানান সাবেক এ চেয়ারম্যান।
আমজাদ হত্যার বিচার চেয়ে একই এলাকার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ সুষম উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “সরফদিনগর গ্রামটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এই গ্রামে এর আগেও বহু হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তাই মামলটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমজাদ আমার গ্রামের ছেলে, আমি তার হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
নিহত আমজাদের চাচাতো ভাই জাকির বলছিলেন, “সোমবার রাত ১০টার পর আমরা একসঙ্গে ভাদিয়াখোলা বাজারে ছিলাম। পরে আমজাদ প্রতিবেশী আলতাফের দোকান থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে তার সঙ্গে বাড়ির দিকে যায়। আলতাফ তার বাড়ি যায় এবং আমজাদ তার নিজের বাড়ি যায়।”