মাছের অভয়াশ্রমে দুই মাস জাল ফেলা নিষেধ

শিকার নিষিদ্ধ এলাকার মধ্যে আড়িয়াল খাঁ নদীর কিছু অংশ, গজারিয়া, কালাবদর, মেঘনা ও পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী রয়েছে।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 10:09 AM
Updated : 28 Feb 2023, 10:09 AM

জাটকা সংরক্ষণে দুই মাস বরিশাল বিভাগের তিন জেলার পাঁচ নদীরসহ বিভিন্ন অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ নদীর ৩৭২ কিলোমিটার এলাকায় কোন ধরনের মাছ শিকার করা যাবে না বলে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার নদী রয়েছে। অভিযান সফল করার জন্য এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে স্ব স্ব জেলার মৎস বিভাগ।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিকার নিষিদ্ধ এলাকার মধ্যে বরিশাল জেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর কিছু অংশ, গজারিয়া, কালাবদর, মেঘনা ও পটুয়াখালীর তেতুলিয়া নদী রয়েছে।

এছাড়া চাঁদপুর জেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার, ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তুম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এবং বরিশাল সদর উপজেলা, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

নাসির বলেন, নিষিদ্ধ সময় অভয়াশ্রমে মাছ শিকার বন্ধ রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগকে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অফিস থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলে ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ইউনিয়নে ইউনিয়নে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা টাস্কফোর্স মাছ শিকার বন্ধ রাখতে অভিযান করবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক বলেন, সরকার ঘোষিত ৫টি অভয়াশ্রমে প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ (২৫ সেন্টিমিটার /১০ইঞ্চি আকারের) সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় অভয়াশ্রমে মাছ আহরণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ সময় নিবন্ধিত জেলেদের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় চাল দেবে বলে জানান তিনি।