হাসপাতালের একটি সিন্ডিকেট তাদের বেতন পেতে সহযোগিতা করেছে বলে ভাষ্য দুদকের।
Published : 05 Feb 2025, 08:05 PM
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নার্সের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করার সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বুধবার বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সিলেটের উপ-পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সাদাত।
তিনি বলেন, “অন্তত ১৬ নার্স অনুপস্থিত থেকেই বেতন নিয়েছেন। কোনো কোনো নার্স প্রায় দুই বছর ধরে এ ধরনের সুযোগ নিচ্ছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ছুটি নেওয়া কোনো অনুমতিপত্র ছিল না। অনুমতি ছাড়াই তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
“এখানের একটি সিন্ডিকেট তাদের বেতন পেতে সহযোগিতা করেছে। হিসাব শাখার দায়িত্বশীলরা এটাতে জড়িত ছিলেন। আমরা আরও তথ্য পেয়েছি, তা নিয়ে কাজ করছি।”
দুদককে সব ধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর রাশেদ মুনীর।
তিনি বলেন, দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালে বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেছেন। তারা বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ ছাড়া দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. মাহবুবুল আলমের কক্ষে যান।
এর আগে দায়িত্ব পালন ছাড়াই হাসপাতালের ১৬ নার্সিং কর্মকর্তার বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি নজরে আসে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের। সম্প্রতি এ বিষয়ে তাদের নোটিস দিয়ে বেতন-ভাতা ফেরত দিতে বলা হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে অভিযানে নামে দুদক।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওসমানী হাসপাতালের ৪৩ নার্স কর্মস্থলে অনুপস্থিত। এর মধ্যে ১৬ জন কর্মস্থলে না থেকেও মাসের পর মাস বেতন নিয়েছেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে ৮ জানুয়ারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর থেকে নোটিস জারি করা হয়।
অনুপস্থিত থাকা কর্মকর্তারা হলেন- জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স মো. ইউসূফ, মো. আব্দুর রহমান, লিপি রানী, আওলাদ হোসেন মাসুম, জাহেদ আহমদ, এম এফ কে জান্নাত, একরামুল হক, রুনা, কামরুন্নাহার, ঝিলি ধর, মোহাম্মদ আলী আশরাফ, মো. শাহিন মিয়া, শামীমা জান্নাত, জান্নাতুল ফেরদাউস, মোছা. শিরীন সুলতানা এবং লাভলী বেগম।