কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল একথা বলেন।
Published : 01 Mar 2025, 06:47 PM
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গ্রেপ্তার নিয়ে এক সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের ভাই শেখ রাসেল এই বক্তব্য দেন। তিনি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের উপ-পরিচালক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার চৌড়ঙ্গী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে শেখ রাসেলের দেওয়া এক মিনিট ২২ সেকেন্ড ভিডিওটি এখন ফেইসবুকে ঘুরছে।
ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা যাচ্ছে, “কে আওয়ামী লীগ করেছে? কে কী করছে, বিষয় সেটা না। সবাই আমাদের মানুষ। সবাই চৌরঙ্গীর মানুষ। এদেরকে অ্যারেস্ট করতে হলে আমাদের কাছ অনুমতি নিয়ে করতে হবে। এর বাইরে যদি একটা মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, আমরা থানা ঘেরাও করব সবাই মিলে।”
রাসেল বলেন, “আমরা অনেক অন্যায় করেছি। আমরা ছোট ছিলাম। আমরা বুঝিনি। আমাদের ক্ষমা করে দিন। আমাদের সঙ্গে থাকেন। আর একটা অন্যায়ও আমাদের দ্বারা হবে না। মেহেদী রুমীর নেতৃত্বে শেখ সদর উদ্দিনের স্বপ্নের চৌরঙ্গী গড়ার ইচ্ছা আমার। আমাদের সাথে থাকেন।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহেদী আহমেদ রুমী।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল আলীম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, “চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ‘জ্বালাময়ী’ এই বক্তব্য দেন শেখ রাসেল। এ সময় অনেকেই তার বক্তব্য ফেইসবুকে লাইভ করেন এবং রাতে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।”
তবে প্রকাশ্যে শেখ রাসেলের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি। বিএনপি তা সমর্থন করে না।”
ভিডিওর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে শেষ রাসেল বলেন, “বক্তব্যটার মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি, এতোদিন কোনো জবাবদিহিতা ছাড়াই পুলিশ যাকে খুশি তাকে ধরেছে-ছেড়েছে। এমনটি যেন আর না হয়। অর্থাৎ কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন পুলিশি হয়রানির শিকার না হয়। তারপরেও যদি অন্যকিছু বলে থাকি, তা হলো ‘স্লিপ অব টাং’।”
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, “পুলিশ কারো কথামত চলবে না। পুলিশ তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। আইন সবার জন্যেই সমান, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না।”