বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে রোববার বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
Published : 13 Jan 2025, 09:42 PM
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কুল কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে আহত জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী মারা গেছেন।
রোববার উপজেলার বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন খোকন মোল্লা। সোমবার সকালে তাকে কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল থেকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানেই বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান বলে মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান।
খোকন মোল্লা (২২) বুরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নওশের আলী পচা মোল্লার ছেলে এবং জামায়াতে ইসলামীর কর্মী।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বুরাপাড়া মিটন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদের নির্বাচন নিয়ে আমলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মকলেসুর রহমান মুকুল এবং স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরেই রোববার বিকালে স্কুল মাঠে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। তাদের অনেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্স এবং কুষ্টিয়া জেলা আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মিরপুর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকেই দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলেও জানান ওসি। এ ছাড়া খোকন মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় আইনি পদেক্ষপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সংবাদ সম্মেলন করে একপক্ষ অন্যপক্ষকে দোষারোপ করেছে।
সকাল ১১টায় স্থানীয় বিএনপির পক্ষ থেকে মিরপুর উপজেলার আমলা বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন সভাপতি প্রার্থী ও বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসির। তিনি ঘটনার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আমলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রওশন আলি, আমলা সদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন মুসা।
অপরদিকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল গফুর সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিরপুরের ঈগল চত্বরে। তিনি সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
যদিও মিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহমত আলী রব্বান এ ঘটনায় দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “রাশেদ মাহমুদ নাসির নামে মিরপুর উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা যা করেছেন তাতে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এর দায় সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত। জাসদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন।”