২০১৩ সালের ৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
Published : 10 Sep 2024, 09:58 PM
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় প্রায় এক দশক পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
রোববার রাতে দুইজনকে এবং সোমবার দুপুরে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তার তিনজন ত্বকী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে তারা এর আগে গ্রেপ্তার হননি। তদন্তের স্বার্থে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- শাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদার।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে শিপনকে এবং কালিবাজার এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশীদ জানান, মামুন ও শাওনকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শামসুর রহমানের আদালতে তোলা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার একই মামলায় গ্রেপ্তার কাজল নামে আরেক আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হায়দার আলী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শায়েস্তা খান রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সুধীজন পাঠাগারে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ত্বকীর বাবা নারায়ণগঞ্জে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। তখন এই হত্যা মামলায় ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব।
তাদের মধ্যে লিটন ও ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে এই চারজনই পলাতক রয়েছেন।
দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও এই হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষ করতে পারেনি র্যাব। আদালতে অভিযোগপত্র জমা না দেওয়ায় বিচার শুরু হয়নি।
ত্বকী মেধাবী ছাত্র ছিল। যেদিন সে নিখোঁজ হয় পরদিন তার ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায়, মেধাবী এ কিশোর সারাবিশ্বে পদার্থবিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছিলেন।