Published : 24 Jan 2025, 08:03 PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনিরুজ্জামান, সদস্যসচিব একেএম রাশিদুল আলমসহ কমিশনের সদস্যদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৬ বছর ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২ বছর অধ্যয়নরত রয়েছেন শুধু তাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ছাত্র সংসদের সভাপতি, উপাচার্যের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে অধ্যয়নরত এম ফিল, পিএইচডি, উইকেন্ড ও ইভিনিং প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন ব্যাচের অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
যেসব বিভাগে স্নাতক (সম্মান) কোর্সের মেয়াদ ৫ বছর, শিক্ষার্থীদের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৭ বছর ধরে অধ্যয়ন করার অনুমতি রয়েছে সেসব বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাত বছর মেয়াদ পাবেন।
এতে আরও বলা হয়, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএসের শিক্ষার্থীরা বিশেষায়িত মাস্টার্সে অধ্যয়ন করায় তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী আইবিএ-জেইউর নিয়মিত কোর্সে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়ন না করেও মাস্টার্স স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তাদের নির্বাচনের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম রাশিদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে আমাদের এই প্রয়াস। আজকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
“কয়েকদিন আগে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। এই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের সহযোগিতা কাম্য।”
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত ও প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকায় প্রয়োজনে সংযোজন ও বিয়োজনের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশন সংরক্ষণ করে।
এছাড়া প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকায় কোনোরূপ অস্পষ্টতা বা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে, নির্বাচনের তফসিল অনুসারে লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।