মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার এক ইউপি সদস্যকে হত্যার মামলায় এক ব্যক্তি ও তার ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. কাজী শহীদ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গাংনী উপজেলার ষোলোটাকা গ্রামের আব্দুল মালেক এবং তার ছেলে আলমগীর হোসেন। আব্দুল মালেক ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে।
ষোলোটাকা ইউপির তৎকালীন সদস্য আবুল কালাম হত্যায় করা এই মামলায় বাকি আসামিদের মধ্যে একজন পলাতক অবস্থায় প্রবাসে মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকিদের বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথির বরাতে পিপি অ্যাড. কাজী শহীদ জানান- ২০১৭ সালের ২৫ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুরানো বিরোধের জের ধরে তৎকালীন ষোলোটাকা ইউপির সদস্য আবুল কালামকে ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনার পরদিন নিহত আবুল কালামের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদি হয়ে আব্দুল মালেক ও আলমগীর হোসেনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার এসআই শহীদুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে বিচার কাজ শুরু হয়। এ মামলায় ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক।
পরে বৃহস্পতিবার আব্দুল মালেক ও তার ছেলে আলমগীর হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম।