বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, মারধরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমিরুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Published : 12 Jan 2024, 04:24 PM
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনে নৌকা জয়ের পর থেকে বেলকুচি ও এনায়েতপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুরের বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দুই থানায় সাতটি মামলা হয়েছে।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করেছে সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশ। অভিযানে নৌকার সমর্থক সাবেক এক শ্রমিক দল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দীন।
বেলকুচি-চৌহালী উপজেলা এবং এনায়েতপুর থানার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত এই আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিল্পপতি আব্দুল মোমিন মণ্ডল।
মমিন মণ্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট।
বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, গত কয়েক দিনে নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় বেলকুচি থানায় অন্তত ৬টি মামলা হয়েছে।
এছাড়াও এনায়েতপুরের খামার গ্রামের একটি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে বলে থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান।
ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দীন জানান, নির্বাচনের পর থেকে গত কয়েকদিনে বেলকুচি ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষ, মারধর ও বসতবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশের কয়েকটি টিম বৃহস্পতিবার রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। শুক্রবারও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অভিযানে আমিরুল ইসলাম আকন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে বেলকুচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিবির ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার আমিরুল ইসলাম ২০১০ সালে সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়িতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভাস্থলে ট্রেন পোড়ানো মামলার আসামি। তিনি বিএনপির অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক দল বেলকুচি পৌর শাখার সভাপতি ছিলেন।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মমিন মণ্ডল নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর আমিরুল আওয়ামী লীগে যোগ দেন। নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর বেলকুচি উপজেলায় বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এছাড়া আমিরুল সম্প্রতি উপজেলার সূবর্ণসাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে ফজলু শেখ নিহতের মামলার প্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা মোতালেব সরকারের ভাগিনা।
বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, মারধরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আমিরুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আগের সংবাদ
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: বেলকুচিতে বাড়ি-দোকানপাটে হামলা, মামলা