২০১৭ সালে শেখ আজমের মোটরসাইকেল থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
Published : 03 Jun 2024, 06:10 PM
ফরিদপুরে মাদক বহনের দায়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার ফরিদপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ছানোয়ার হোসেন জানান।
দণ্ডিত শেখ আজমের বাড়ি (৪০) নড়াইলের লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামে। তিনি ওই সময় ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) পদে কর্মরত ছিলেন। ওই ঘটনার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুরের দিকে আসা একটি মোটরসাইকেল মধুখালী রেলগেটের পশ্চিম দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক পার হচ্ছিল।
এ সময় স’মিল মিস্ত্রি মজিবর মোল্লাকে ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেলটি। এ ঘটনায় মজিবর আহত হন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কারলে স্থানীয় জনতা পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজমকে আটক করে।
পরে পুলিশ এসে ওই মোটরসাইকেলের সঙ্গে গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর মধুখালী থানার একটি মাদক মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছানোয়ার বলেন, রায় ঘোষণার পরে তাকে পুলিশ প্রহরায় জেল হাজতে পাঠানো হয়। এ মামলা থেকে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।