ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন উপকূলের মানুষ

দুপুরের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবে না তাদের জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2023, 09:19 AM
Updated : 13 May 2023, 09:19 AM

কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ১৭০ কিলোমিটার গতির ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকেই কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি উপকূলীয় এলাকায় এ ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তাই সম্ভাব্য বিপদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে কক্সবাজারের প্রশাসন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে ‘মোখা’ মোকাবেলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে।

মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, পর্যাপ্ত গাড়ি রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ক্রমাগত মানুষ আসতে শুরু করেছে। নারী, বয়স্ক, শিশু এবং গবাদি পশুসহ উপকূলীয় এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করছেন।

“এক ঘণ্টা পর পর আপডেট নেওয়া হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে। এটা আরও বাড়বে।”

বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, “দুপুরের পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবে না তাদের জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে। এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করা হবে।”

তিনি জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রশাসনের আলাদা প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সকলকে আনা হয়েছে। দ্বীপের জন্য আলাদাভাবে পাঁচ মেট্টিক চাল ও নগদ এক লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে।

“সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে মানুষকে মহেশখালীতে নিয়ে আসা হয়েছে। জেলার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও টাকা মজুদ রয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক যানবাহন রয়েছে।”

একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

এদিকে, কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনের ৬৮টি আবাসিক হোটেল মোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে সকাল থেকে কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সাগর ক্রমাগত উত্তাল হচ্ছে। জেলা শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রেও মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।