গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Published : 11 Dec 2024, 10:09 PM
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পাবনা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদ (২৬), চক রামচন্দ্রপুর এলাকার মাহমুদুল হাসান সাজিদ (২৩) ও শালগাড়িয়া ফরেস্ট এলাকার হারুন অর রশিদ (২৭)।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্রী। ২০২২ সালে কালাচাঁদপাড়া এলাকার মেহেদী মাসুদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের চাপে মেহেদী অন্যত্র বিয়ে করায় ২০২৪ সালের মে মাসে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
গত সোমবার রাতে মেহেদী হাসান চা খাওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেন।
এরপর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের মেরিল বাইপাসের ফরেস্ট এলাকায় নিয়ে যান।
পরে বনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে আরও দুই যুবককে ডেকে এনে দলবেঁধে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
পরে মেয়েটিকে তারা একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পালিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন ওই ছাত্রী।
সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে; মামলা নম্বর ২৪।
পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদী মাসুদসহ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।