পৃথিবীর এ প্রান্তে মহামারী পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিক, তখন ঠিক দশ মাস পর পাভিয়ার বাইরে কোথাও যাওয়ার সাহস করলাম। ফাইজারের টিকা গায়ে চাপিয়ে দুই ব্যাগপ্যাক ট্রাভেলার ট্রেনে চেপে বসলাম। পছন্দের তালিকায় প্রথমেই ছিলো লেক কোমো।
Published : 12 Aug 2021, 10:57 AM
লাগো দি কোমো বা লেক কোমো ইউরোপের পঞ্চম গভীরতম হ্রদ, যার তলদেশ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছয়শ ষাট ফুটেরও বেশি নিচে। সেই রোমান আমল থেকে অভিজাত ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে লেক কোমো একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। অনেক শৈল্পিক এবং সাংস্কৃতিক রত্নসহ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটক আকর্ষণ এ লেক কোমো।
লেখক ও তার স্বামী সৈয়দ মেহেদী হাসান
ট্রেন এসে কোমো সান জিওভান্নি স্টেশনে থামলো। সেখান থেকে বোট টার্মিনাল দশ মিনিটের হাঁটা পথ। মোটরশিপে দুই ঘণ্টার পথ আমাদের প্রথম গন্তব্য বেলাজিও। ভোল্টা মিউজিয়াম, ভিলা ওল্মোকে পেছনে ফেলে আমাদের শিপ ছুটতে লাগলো। দুই ঘণ্টার সেই যাত্রার প্রতিটা মুহূর্ত ছিলো উপভোগ করার মতো। কিছুক্ষণ পর পর একেকটা ছোট ছোট শহরের টার্মিনালে যাত্রীর উঠানামা চলতে থাকলো। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে আমরাও প্রতিটা শহরকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেলাম।
চলবে...
লেখক: পেশায় একজন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের বাফেলো ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। বসবাস করেন ইতালির পাভিয়া শহরের ভিয়া কাশশিনাজ্জা এলাকায়
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |