এতে দেশটিতে রেস্তোরাঁ খাতে সেরাদের ৫১টি পদক দেওয়া হয়।
Published : 15 Oct 2024, 10:12 PM
নানা আয়োজনে যুক্তরাজ্যের বাছাই করা শেফ ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সম্মাননা দিয়েছে ‘কারি লাইফ মিডিয়া গ্রুপ’।
সংগঠনের দেড়যুগ পূর্তিতে ‘কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ড’ শিরোনামে এ আয়োজন উদযাপন করা হয় দেশটিতে রেস্তোরাঁ খাতে সেরাদের ৫১টি পদক দেওয়ার মাধ্যমে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়, রোববার সেন্ট্রাল লন্ডনের ম্যাফেয়ারের লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যের হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার বিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ওয়েস স্ট্রেটিং।
সম্মাননা পাওয়াদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “হসপিটালিটি খাত দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। কিন্তু তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি এবং কারি হাউস আমাদের কমিউনিটিকে একত্রিত করছে, একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে। আমাদের ব্যবসাকেন্দ্রগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করছে, যেখানে মানুষ পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে যাওয়া-আসা করেন।”
যুক্তরাজ্যের জিবি নিউজের প্রেজেন্টার এবং টেলিগ্রাফের অ্যাসোসিয়েট এডিটর ক্যামিলা টোমিনির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘কারি লাইফ’ ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশার সূচনা বক্তব্যে।
তিনি বলেন, “রেস্তোরাঁগুলো কর্মচারী সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে একদিন বন্ধ রাখছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রান্নার উপকরণের উচ্চমূল্যের কারণে ক্যাটারিং সেক্টর এক মহাসংকটের মধ্যে যাচ্ছে। এসব সংকট উত্তরণে সহযোগিতার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বছরে প্রায় চার বিলিয়ন পাউন্ডের অবদান রাখে কারি ইন্ডাস্ট্রি।”
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রিজের (সিবিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট, কোবরা বিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড করন বিলিমোরিয়া, কমিউনিটিজ অ্যান্ড লোকাল গভর্মেন্ট বিষয়ক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য রুশনারা আলী, সংসদ সদস্য শার্লট নিকোলস ও সংসদ সদস্য জেইড বোটেরিল।
লর্ড বিলিমোরিয়া মনে করেন, ব্রিটেনের অর্থনীতি ষষ্ঠ অবস্থানে উন্নীত হওয়া সম্ভব ছিল না অভিবাসী বাঙালিদের অবদান ছাড়া। এজন্য তিনি অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে গেছে বলে নেতিবাচক প্রচারণা বন্ধ করা, রেস্তোরাঁ ও হসপিটালিটিসহ দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মী সংকটের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।
রুশনারা আলী বলেন, “ব্রিটিশ কারি ইন্ডাস্ট্রির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শুধু ব্রিটিশ এশিয়ান কমিউনিটির জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে না, এটি একটি মাল্টি বিলিয়ন পাউন্ড ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছে। এটি দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে।”
যুক্তরাজ্যে রেস্তোরাঁ খাতে বাংলাদেশিদের অবদানকে মূলধারায় তুলে ধরার পাশাপাশি কারি শিল্পে নিবেদিতদের উৎসাহিত করতে ২০০৩ সালে ‘কারি লাইফ ম্যাগাজিন’ চালু করেন দুই সহোদর সৈয়দ নাহাস পাশা এবং সৈয়দ বেলাল আহমদ। কারি লাইফ ম্যাগাজিনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে চালু করেন কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ডস ও গালা ডিনার।
কারি লাইফ মিডিয়া গ্রুপের সম্পাদক সৈয়দ বেলাল আহমেদ বলেন, “কারি লাইফ অ্যাওয়ার্ডসের একটি প্রধান লক্ষ্য হলো কারি শিল্পে সেরা চর্চার অনুশীলনকে তুলে ধরা, যাতে প্রত্যেকের শেখার সুযোগ থাকে। কারি লাইফ ম্যাগাজিনের পেছনেও সেরা চর্চার অনুশীলন চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে।”