দণ্ডিত এ রাজনীতিককে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
Published : 06 Feb 2024, 04:30 PM
যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানালেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন।
ঢাকায় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপের পর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান তিনি। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমাদের জানা মতে, উনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের ইয়েতে আছেন।”
দেশে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ কয়েকটি মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে আসছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সেবিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমাদের সাথে ওদের যে সমস্ত লিগ্যাল মেকানিজমগুলো আছে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স, ডিপোর্টেশন বা এক্সট্রাডিশনের- এই বিষয়গুলো আমাদের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জরুরি অবস্থার সময় ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরের বছর মুক্তি পেয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে সপরিবারে থাকছেন তিনি। এর মধ্যেই দেশে বিভিন্ন মামলায় তার সাজা হয়। এর মধ্যে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও ফেরারী আসামি হওয়ার কারণে সেটি নবায়ন করতে পারেননি তারেক রহমান।
তারেক কোন স্ট্যাটাসে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন, সেটি বারবার জানতে চাইলেও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি বলে গত বছরের জুলাইয়ে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবারের সংলাপে যুক্তরাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরাতে দুদেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং স্টান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।
এসওপি তৈরির বিষয়ে আলোচনার কথা তুলে ধরে ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, “অভিবাসন ও ফেরানোর পাশাপাশি বিচার ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষেত্রে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ করার বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ। অক্টোবরের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা করার আগে ফেরানোর তথ্য-উপাত্ত প্রক্রিয়া ও সময়সীমার বিষয়ে এসওপি সম্পন্ন করার বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় দেশ।”
এসওপির বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার পর তারেকের অবস্থার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, “তবে, আমরা আজকে বেশি আলোচনা করেছি যে, ওইখানে যারা রেগুলার যারা যাচ্ছেন, কিন্তু তারা আসছেন না সময়মত বা ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে হয়ত ঢুকে পড়ছেন, সেখানে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন, সেই ব্যাপারেই আলোচনাটা বেশি হয়েছে।
“আর অন্যান্য লিগ্যাল ম্যাকানিজমগুলোর মাধ্যমে যদি আমাদের কোনো কনভিক্টেড আসামি থাকে, সেটা যুক্তরাজ্যেরও হতে পারে আমাদের দেশে বা আমাদের দেশেরও হতে পারে সেখানে, তাদের ব্যাপারে যাতে সহজে কাজ করতে পারি।”
এর আগে ২০২১ সালে চতুর্থ কৌশলগত সংলাপের পর তারেককে ফেরাতে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (এমএলএ) চুক্তির আলোচনার কথা জানিয়েছিল সরকার।
সে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “সেটা নিয়ে আমাদের লিগ্যাল সিস্টেমে আছে। যুক্তরাজ্যের ওরা বিবেচনা করছে। কিন্তু স্বাক্ষরের পর্যায়ে এখনও আসে নাই। এটার বিভিন্ন প্রসেসগুলো আছে, সেটা কনক্রিট করা হচ্ছে।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)