নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) নেতৃত্বে এলেন সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্যকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে সোমবার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে বিএনএম।
সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান।
তিনি বলেন, “আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হল। আমাদের দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের দলে বিএনপির আরও তিনজন সাবেক সংসদ সদস্য রয়েছেন।”
এই তিনজন হলেন–ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সা্বেক সংসদ সদস্য দেওয়ান শামসুল আবেদীন এবং বরগুনা-২ আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমান।
শ্রমিক নেতা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর এক সময় ছিলেন আওয়ামী লীগে, পরে বাকশালে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হন।
এরপর একই আসন থেকে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে তিনি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। ২০০৩ সালে জাতীয় পার্টি থেকে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে ফরিদপুর-১ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হন।
শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমি নির্বাচনে অংশ নেব বলেই বিএনপি ছেড়ে এই দলের এসেছি। আমি বিশ্বাস করি, সরকার একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সচেষ্ট হবে।”
কেনো বিএনপি ছাড়লেন– এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার এলাকায় অনেক নেতা-কর্মী কারাবন্দি, অনেকে মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া। তাদের রক্ষায় আমি এই মুহূর্তে মনে করেছি যে, আমার নির্বাচনে যাওয়া উচিত। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না, সেজন্য দল ছেড়েছি।”
বিএনএম এর সংবাদ সম্মেলনে ২০১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য সংখ্যা ১৬ জন।
২০২১ সালে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল বিএনএম, তখন আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান, সদস্য সচিব ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. হানিফ। চলতি বছর গত অগাস্ট মাসে দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়।
দলটি নতুন মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহজাহান বলেন, বিএনএম মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিতরণ শুরু করবে। গুলশানের নতুন কার্যালয়ে এই ফরম পাওয়া যাবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ ভালো দেখছি, সামনের দিনের কথা বলতে পারি না। তবে আমরা আশা করি, নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, এর মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার যেন প্রয়োগ হয়। এবং দেশে একটি স্থিতিশীল পরিবেশ যেন তৈরি হয়।”