নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠনসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বৈঠক থেকে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
Published : 06 Nov 2023, 11:23 PM
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতির বিভিন্ন দিকসহ দলীয় নানান বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিতে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ।
আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ক্ষমতাসীন দলের এ বৈঠকে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন, তফসিল পরবর্তি দলীয় কর্মসূচি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কর্মপন্থা নির্ধারণের মতো বিষয় আলোচনায় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকের সূচি রয়েছে, যাতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সবশেষ ১২ আগস্ট আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়েছিল।
সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, "৯ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হবে।"
বৈঠকে আলোচ্য সূচির বিষয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন, আগামী দিনে দলীয় কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয় এজেন্ডায় আছে। আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দেবেন।"
দলের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "দেশের গণতন্ত্র ও আগামী নির্বাচন সব মিলিয়ে ৯ তারিখের মিটিংটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন নির্বাচনের মূল কমিটি হবে ও উপকমিটি হবে। এগুলো বৈঠকের এজেন্ডার ভিতরেই আছে।"
সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে গত ১ নভেম্বর।
নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতিতে (দলীয় সরকারের অধীনে) ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনে) এ নির্বাচনের আয়োজন করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সেজন্য নভেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধেই তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চলছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি জানানো হয়েছে ইসির তরফ থেকে।
আগামী বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। এরপরই তফিসলের ঘোষণা আসতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসিও দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে আগে জানিয়েছে।
এদিকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ঠেকাতে আন্দোলন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে হরতালের পর অবরোধসহ কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা। সামনে তা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে।
অবরোধের আগে বাস ও যানবাহনে আগুনের ঘটনা ঘটছে ঢাকাসহ দেশজুড়ে। বিরোধীদের আন্দোলনের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগও। এ অবস্থায় সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছে, সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার জনসভার মাধ্যমে তারা নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি চোরা গুপ্তা হামলা ও নাশকতামূলক রাজনীতি করছে অভিযোগ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বৃহস্পতিবার দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের বিষয়ে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের যে রাজনীতি, তাদেরকে রুখে দেওয়া এবং মোকাবিলা করার বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি তৃণমূল মানুষের অর্থনীতির সংকট বাড়ানোর যে অপরাজনীতি- সেই অবস্থায় কী কৌশল, কী পদ্ধতিতে দেশের মানুষকে রক্ষা করা যাবে সেই বিষয়ে আলোচনা হবে।