বিএনপির নেতাকর্মী ৫০ লাখ? তালিকা চান ওবায়দুল কাদের

বিএনপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কাদের বলেছেন, “জাতীর সামনে তালিকা দেন।”

বিএনপির ‘৫০ লাখ নেতাকর্মীর’ বিরুদ্ধে সরকার মামলা করে বলে যে অভিযোগ দলটির নেতারা করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেছেন, “৫০ লাখ? ... তাদের তো এতো নেতাকর্মীই নেই।” 

বিএনপির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কাদের বলেন, “জাতীর সামনে তালিকা দেন।” 

রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান রচিত ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বর্ণযুগ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, “বিএনপির সময় হাস্যকর মামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জ্বালাও পোড়াও করে করে তারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে তা সবার জানা। মির্জা ফখরুল খুনের মামলার আসামি, মাদক মামলার আসামির জন্যও বিবৃতি দেন।” 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা, যিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির কথা ভাবেন।

“১৪ বছরের সফল নেত্রী শেখ হাসিনা, এ দেশের রাজনীতির একটি ইতিহাস। রাজনৈতিক পরিবর্তনের আধুনিক রূপকার শেখ হাসিনা।” 

আওয়ামী লীগ সরকার যে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানবে না, সে কথা এ অনুষ্ঠানেও বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। 

এর আগে তত্ত্বাবধায়কের নামে ‘কতগুলো চক্রান্তকারীদের দিয়ে’ শেখ হাসিনাকে পদে পদে অপদস্ত করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাস করে। যতই চেষ্টা করুক না কেন আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতেই হবে এর কোনো বিকল্প নেই।” 

সেতুমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি ভাবেন আগামীর প্রজন্মের কাছে সুন্দর একটি দেশ উপহার দেওয়ার কথা। 

“বিএনপি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো- ইতিহাস সাক্ষী। ভোট জালিয়াতি শুরু করেছিলো তারা। তাদের টার্গেটই একদফা - সরকার হটাও ক্ষমতা দখল কর। তাদের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন নেই যা দেশের মানুষকে দেখাতে পারবেন।” 

মন্ত্রী বলেন, “সাহস আর সততার জন্য শেখ হাসিনা নিজের টাকায় সেতু করেছেন। এ দেশের গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনাকে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জ অতিক্রম ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর আওয়ামী লীগই করেছে, যা এই দেশের জন্য দৃষ্টান্ত।”