জাতীয় পার্টি (জেপি) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সঙ্গে ৫ সেপ্টেম্বর সংলাপের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্ধারিত সময়ে অংশ নিতে না পারায় দল দুটিকে এক মাস পরে নতুন তারিখ দেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক জানান, ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেপির সঙ্গে এবং বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ন্যাপের সঙ্গে সংলাপ হবে।
জুলাই মাসে ৩৯টি নিবন্ধিত দলকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানায় ইসি। ওই সূচি অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে সংলাপে অংশ নিতে অপারগ হওয়ায় জেপি ও ন্যাপ পরবর্তীতে সংলাপের সময় চেয়ে কমিশনের কাছে অনুরোধ করে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দল দুটির সংলাপসূচি পুননির্ধারিত হয়।
জেপির দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের দলের সঙ্গে সংলাপের নতুন সূচি জানানো হয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর বসবে কমিশন।”
নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান ইসি ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত শিক্ষাবিদ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পযবেক্ষক, গণমাধ্যম সম্পাদক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মতামত নেয়।
ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা নিয়ে জুনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয় তারা।
ওই সংলাপে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল মতামত দেয়, দুটি দল সংলাপে না গিয়ে লিখিত মতামত পাঠিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে বিএনপিসহ ১১টি দল তখন সংলাপে আসেনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উন্মুক্ত আলোচ্যসূচি নিয়ে জুলাই মাসে আবার সংলাপ ডাকে ইসি। বিএনপিসহ সাতটি দল সংলাপ বর্জন করে। দুটি দল পরে বসবে বলে জানায়। দুটি দল সংলাপে না এসে মতামত জানিয়ে দেয়।
১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সব মিলিয়ে তিন শতাধিক প্রস্তাব আসে ইসির কাছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই সংলাপ শুরু করে নতুন কমিশন।
পুরনো খবর