বিএনপি নেতার আইনজীবী বলেন, “তিনি (আলতাফ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এই মামলার অভিযোগ তার মর্যাদার সঙ্গে মেলে না।”
Published : 05 Nov 2023, 04:20 PM
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ শেখ সাদী এই আদেশ দেন।
ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে র্যাব আটক করার পর আলতাফকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতে নিয়ে আসা হয়।
বিএনপির অন্য বেশ কয়েকজন নেতাকে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলেও আলতাফকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবু আনছার।
অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তিনি বলেন, “২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতোই একটি নির্বাচনের জন্য বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।“
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় মামলাটিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তিনি (আলতাফ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এই মামলার অভিযোগ তার মর্যাদার সঙ্গে মেলে না।”
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করলে বিএনপি নেতার আইনজীবী আলতাফকে কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের আবেদন করেন। এরপর বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী তা নিষ্পত্তির আদেশ দেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সরকার পতনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশের দিন কাকরাইল ও বিজয়নগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ বিভিন্ন সরকার স্থাপনায় হামলা হয়।
আলতাফকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাতে বলা হয়, “বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে নেতা-কর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক ও গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ।